সাংবাদিকতা নীতিমালা
সম্পাদকীয় অবস্থান- পূর্ণ সত্য উদ্ঘাটনে ও পরিবেশনে আমরা সংকল্পবদ্ধ।
- তথ্য পরিবেশনে আমরা বস্ত্তনিষ্ঠ, আপসহীন ও পক্ষপাতশূন্য।
- গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, আপামর মানুষের মঙ্গল ও উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা অবিচল।
- এ দেশের নাগরিকদের সৃষ্টিশীল উদ্যম এবং বর্তমান ও ভবিষৎ-মুখী উন্নয়নে আমরা আস্থা রাখি।
- নারী, শিশু এবং ধর্মীয় সম্প্রদায় বা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার আত্মমর্যাদা ও অধিকারের প্রতি আমরা সজাগ ও সংবেদনশীল।
- শ্রেণি, বয়স, লিঙ্গ, সম্প্রদায় ও মতবিশ্বাস-নির্বিশেষে সবার তথ্য ও মতামতের চাহিদার প্রতি আমরা সজাগ।
মৌলিক কর্তব্য
- তথ্য সংগ্রহ ও পরিবেশনের ক্ষেত্রে আমরা স্বাধীন ও বস্ত্তনিষ্ঠ।
- আমরা কোনো বিষয়ে সংবাদ বা সে-সংক্রান্ত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ-মতামত পরিবেশন করি, কখনো সংবাদ তৈরি করার বা সংবাদ হয়ে ওঠার মতো ঘটনা ঘটাই না। তবে কখনো কখনো আমরা গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করি।
- স্বার্থপ্রণোদিত বা ভীত হয়ে কিংবা নিজের অবস্থানগত কারণে আমরা কোনো ভুল কিংবা আংশিক সত্য তথ্য দিই না বা তথ্য বিকৃত করি না। স্বেচ্ছায় এমন কোনো তথ্য গোপন করি না, যাতে প্রকাশিত তথ্য ভুল ধারণা দিতে পারে।
- আমরা সংবাদে নিজের মত বা মন্তব্য পরিবেশন করি না। তথ্যের সঙ্গে নিজের মনগড়া ধারণা বা কল্পনা যুক্ত করি না। সংবাদ ও মতামত আমরা সুস্পষ্টভাবে আলাদা করি এবং সেভাবে পরিবেশন করি।
- কোনো কারণে ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়ে থাকলে সংবাদ সূত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করি কিংবা অবিলম্বে সংশোধনী দিয়ে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদানের ব্যবস্থা নিই।
- সংবাদ, ছবি বা ভিডিও পরিবেশন করতে গিয়ে আমরা রুচির সীমা অতিক্রম করি না, যদি না তা করতে গিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো সংবাদের মূল মর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তথ্য, সংবাদ, মতামত
- যে বিষয়ে জনসমাজে একাধিক ভিন্নমত রয়েছে, সে-সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন করার সময় আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিবিধ দৃষ্টিকোণের সমাহার ঘটাই।
- উদ্ধৃতিচিহ্নের ভেতরে সবার মৌখিক বক্তব্য আমরা হুবহু পরিবেশন করি। কেবল স্থানবিশেষের আঞ্চলিক বাংলা বা বিদেশি ভাষা উদ্ধৃতি হিসেবে ব্যবহারের সময় মান বাংলায় রূপান্তর করা হয়। সরাসরি উদ্ধৃতি না দিয়ে বক্তব্যের সারকথা বা চুম্বক অংশ পরোক্ষ উক্তি হিসেবে পরিবেশনের সময় আমরা বক্তার মূল বক্তব্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করি না।
- আমরা কোনো বই, জার্নাল, পত্রপত্রিকা, ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তথ্য, ছবি বা ভিডিও পরিবেশন করলে তার সূত্র যথাযথভাবে উল্লেখ করি।
- সম্পাদকীয় স্তম্ভে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করি।
- আমরা অংশগ্রহণ ও অন্তভুর্ক্তিমূলক গণতন্ত্রে গভীরভাবে বিশ্বাস করি। তাই একদিনের উপসম্পাদকীয় স্তম্ভে আমাদের সঙ্গে সম-অবস্থানধর্মী না হলেও আমরা নানা বিষয়ে বিভিন্ন মত প্রকাশ করি। উপসম্পাদকীয় স্তম্ভে আমরা বিচিত্র মতের সমাহার ঘটাই এবং পর্যালোচনামূলক বিতর্ককে উৎসাহিত করি।
ছবি বা ভিডিও চিত্র পরিবেশন
- মুদ্রণসৌকর্যের জন্য ছবির আলোছায়া বা রং সম্পাদনার সময় লক্ষ রাখি, যাতে তার মূল বিষয়বস্ত বা ভাব ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
- গৃহীত আলোকচিত্র বা ছবি সম্পূর্ণত বা তার নির্বাচিত, অর্থাৎ ক্রপ করা অংশ আমরা পরিবেশন করে থাকি, কিন্তু মুদ্রিত ছবির ভেতরে কোনো উপাদান আমরা বর্জন বা পরিবর্তন করি না।
- একাধিক ছবি কেটে, জুড়ে, সম্পাদনা করে কিংবা অন্য কোনো উপাদান যুক্ত করে পরিবেশন করার সময় আমরা ক্যাপশনে তাকে আলোকচিত্রণ, ফটো-ইলাস্ট্রেশন বা ‘ফটো-কোলাজ’ বলে উল্লেখ করি, যাতে পাঠক সেটিকে আলোকচিত্র বলে ভুল না করেন।
- পাঠকের মন পীড়িত হতে পারে, এমন ছবি বা ভিডিও আমরা প্রকাশ করি না। এ কারণে আমরা বীভৎস, নৃশংস বা রক্তাক্ত ছবি পরিহার করি। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশের জন্য এ ধরনের ছবি বা ভিডিও প্রকাশ জরুরি হলে, সে জাতীয় অংশ অস্পষ্ট করে দিই।
- ছবি বা ভিডিও প্রকাশের সময় আমরা লক্ষ রাখি, যাতে কেউ অকারণে বিপদাপন্ন বা হেয়প্রতিপন্ন না হন।
- আমরা ধর্ষণের শিকার কোনো নারীর ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করি না। মৃত ব্যক্তির মর্যাদা যাতে ক্ষুণ না হয়, সে বিবেচনায় আমরা মৃতদেহেরও ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করি না। বিশেষ পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে বা কোনো বিষয়ের গভীরতা তুলে ধরার জন্য এ নিয়মের ব্যতিক্রম করতে হলে সম্পাদকীয় বৈঠকে পর্যালোচনার পরে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিই। একই সঙ্গে সে ছবি বা ভিডিওর সঙ্গে সেটি প্রকাশের কারণ উল্লেখ করি।
অপরের অধিকার
- সবার আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকারকে আমরা সম্মান জানাই। কারও সম্পর্কে সংবাদ পরিবেশন করার সময় সে সম্পর্কে আমরা তার ভাষ্য আবশ্যিকভাবে যুক্ত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করি। এ চেষ্টায় ব্যর্থ হলে তা উল্লেখ করি।
- কারও সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করার সময় আমরা সেই ব্যক্তির মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ করি না।
- কোনো কারণে ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া আমরা অবিলম্বে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করি।
- সজ্ঞান পূর্ব অনুমতি ছাড়া আমরা কারও এমন বক্তব্য পরিবেশন করি না, যা তাঁর ঝুঁকি বা অযাচিত ক্ষতির কারণ উঠতে পারে।
- ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া বক্তব্যের কোনো উদ্ধৃতি বক্তার পূর্ব অনুমতি ছাড়া আমরা ব্যবহার করি না।
- তথ্য সংগ্রহের সময় অসহায় বা তথ্যমাধ্যম সম্পর্কে ধারণা নেই, এমন ব্যক্তির দুর্বলতার সুযোগ আমরা নিই না। আদালতে দণ্ডিত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন সম্পর্কে প্রতিবেদনে অহেতুক উল্লেখ এড়িয়ে চলি।
- নির্যাতিত, নিগৃহীত বা সংখ্যালঘু কোনো ধর্ম, জাতি, সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, এমন তথ্য পরিবেশনের সময় সে সম্পর্কে ওই গোষ্ঠীর দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং/অথবা পরিবেশিত তথ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মত তাতে সন্নিবেশিত করি।
সহিষ্ণুতা ও গ্রহিষ্ণুতা
- কোনো ধর্ম, জাতিগত সম্প্রদায়, গোষ্ঠী বা লিঙ্গের দেশপ্রেম, মানবিক ক্ষমতা, জীবনাচার, উৎসব, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা কোনো কটূক্তি বা নেতিবাচক ইঙ্গিত করি না।
- আমরা উত্তেজনাকর ও স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে সর্বাধিক ধৈর্য ধারণ করি। তথ্যের প্রতিটি খুঁটিনাটি ভালোভাবে যাচাই করে নিই।
- কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের সময় আমরা অহেতুক তাঁর ব্যক্তিগত জীবন—যেমন তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক, জাতি-ধর্ম-বর্ণ, লিঙ্গ, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধিতা, জীবনাচার ইত্যাদি প্রসঙ্গ—টেনে আনি না।
প্রাতিষ্ঠানিক দায়
- রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে নাগরিকদের চাওয়া-পাওয়া ও আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমরা সজাগ। সাংবাদিকতার পরিধির মধ্যে থেকে সে আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমরা দায়বদ্ধ। আমাদের সে দায়বদ্ধতা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের অবস্থানের মুখাপেক্ষী নয়।
- জনস্বার্থের সঙ্গে যুক্ত সব গোপন তথ্য পাঠকদের গোচরে আনা আমরা কর্তব্য বলে মনে করি। তবে আমরা সচেতন থাকি, যাতে কোনো তথ্য পরিবেশনের কারণে জনসমাজ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
- প্রতিটি সংবাদের উৎসে প্রায় সব সময় আমরা নিজেরা যাই। যেখানে তা সম্ভব নয়, সেখানে অন্যের সরবরাহ করা তথ্য পরিবেশনের সময় আমরা সরবরাহকারীর কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করি এবং তাঁর বরাতে সংবাদ পরিবেশন করি।
- পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় খরচ আমরা নিজেরা বহন করি। তবে বিশেষ কারণে এর ব্যতিক্রম হলে—অর্থাৎ প্রয়োজনে অন্য কারও সহায়তায় যৌথভাবে অনুষ্ঠান আয়োজিত হলে—আমরা সতর্কভাবে সম্পাদকীয় বিবেচনার মাধ্যমে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিই এবং তা করতে গিয়ে সাংবাদিকতার নীতিমালা থেকে বিচ্যুত হই না।
সুযোগ-সুবিধা
- সংবাদের উৎসের কাছ থেকে আমরা ব্যক্তিগত উপহার নিই না। সাধারণভাবে বিতরিত সৌজন্য উপহারের বেলায় ক্ষেত্রবিশেষে এর ব্যতিক্রম হতে পারে।
- যেসব দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এ দেশে সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থ রয়েছে, তাদের খরচে আমরা ভ্রমণ করি না। বিশেষ পরিস্থিতিতে তা করতে হলেও সাংবাদিকতার অবস্থান থেকে বিচ্যুত হই না।
- কারও আমন্ত্রণে বিদেশ ভ্রমণে যেতে হলে কতৃর্পক্ষের কাছ থেকে তার পূর্ব অনুমতি নিয়ে থাকি।
- তথ্য সংগ্রহের জন্য কোথাও গেলে সরকার ও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কোনো খরচ নিই না। নিজেদের খরচ আমরা নিজেরাই বহন করি।
- সাংবাদিক হিসেবে আমরা কোথাও কোনো অগ্রাধিকার নিই না।
- সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠান, সভা বা প্রশিক্ষণ বাদে অন্যত্র আমরা বিনা মূল্যে প্রবেশাধিকার নিই না।
- বিজ্ঞাপনসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক বিবেচনায় আমরা আমাদের সাংবাদিকের কর্তব্যকে ক্ষুণ করি না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন কিছু লিখি না বা করি না, আমাদের সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে যা দ্বন্দ্বপূর্ণ হয়, সাংবাদিকতার পেশার পক্ষপাতহীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কিংবা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ করে।
- আমাদের পত্রিকা বা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ তথ্য আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করি না।
- পত্রিকা বা প্রতিষ্ঠানের কোনো বিষয়ে আমাদের নিজস্ব মত বা বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে না বলে প্রাতিষ্ঠানিক পরিমণ্ডলেই নিষ্পন্ন করি।
- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন কিছু করি না, যা কোনো সম্প্রদায়, গোষ্ঠী, ধর্মানুসারী বা লিঙ্গের মানুষকে আহত করে কিংবা সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
সমান্তরাল উপার্জন
- প্রথম আলো ছাড়া আমরা অন্য কোথাও নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে চাকরি করি না।
- বিচ্ছিন্ন, খণ্ডকালীন ও অনিয়মিত উপার্জনের ক্ষেত্রেও আমরা কতৃর্পক্ষের পূর্ব অনুমতি নিয়ে থাকি।
- তবে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে বিচ্ছিন্ন, খণ্ডকালীন ও অনিয়মিত উপার্জনের জন্য কখনো সাংবাদিকতাধর্মী কাজ করি না।
- বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো সাংবাদিকী রচনা বা মত অন্যত্র প্রকাশ বা প্রচার করতে হলে কতৃর্পক্ষের অনুমতি নিয়ে থাকি। তবে এ ক্ষেত্রেও তা এমন প্রতিষ্ঠানে প্রদান করি না, যার সঙ্গে একদিনের স্বার্থের বিরোধ রয়েছে।
- স্বাধীন ও সৃষ্টিশীল কাজের ক্ষেত্রে কোনো বাধা না থাকলেও আমরা পেশাগত কাজের ক্ষতি করে তাতে নিবিষ্ট থাকি না।
- সংবাদ পরিবেশনে সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাত এড়ানোর জন্য নিজেদের বা পরিবারের কোনো সদস্যের ব্যবসা-বাণিজ্য বা চাকরির তথ্য আমরা আগেই কতৃর্পক্ষের গোচরে আনি।
সম্পর্ক ও সংগঠন
- সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমাদের কোনো রকম লেনদেন নেই।
- আমাদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকলেও আমরা কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য নই।
- যে ধরনের সাংগঠনিক ক্রিয়াকলাপ আমাদের পেশাগত কাজকে বিঘ্নিত কিংবা পাঠকদের চোখে আমাদের পেশাদারি পক্ষপাতহীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে, সেসবের সঙ্গে আমরা নিজেদের জড়াই না।
- আমাদের মধ্যে কেউ দেশের প্রভাবশালী কোনো পরিবারের সদস্য হলে বা তাদের সঙ্গে আত্মীয় সূত্রে আবদ্ধ থাকলে কিংবা তাদের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়িক লেনদেনে যুক্ত থাকলে সে তথ্য সম্পর্কে কতৃর্পক্ষকে আমরা আগেই অবগত করি।
নারী নীতিমালা
অধিকারের সমতা- আমরা নারীর, তথা সব লিঙ্গের সমান অধিকার ও সমতায় দৃঢ়বিশ্বাসী। আমাদের সাংবাদিকতা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে আমরা এ অবস্থানের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুত।
- লেখা, ছবি বা কাটুর্নে নারীর প্রতি লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য, ছাঁচে-ঢালা ধারণা, সংস্কার, নেতিবাচক ইঙ্গিত বা বার্তা প্রকাশ না করার ব্যাপারে আমরা সচেতন। তেমন বয়ান কোনো সংবাদ বা কারও মতামতের অপরিহার্য অংশ হলে আমরা তা যথাযথ প্রেক্ষাপট এবং যথোপযুক্ত বিশেষজ্ঞদের মতামতসহ প্রকাশ করি। প্রয়োজনে তা প্রকাশ করার পেছনে আমাদের যুক্তি সম্পাদকীয় বক্তব্য ছেপে অবহিত করি।
- ‘মহিলা’ শব্দটির বদলে আমরা যথাসম্ভব ‘নারী’ ব্যবহার করি।
- কোনো লেখায় বা বিষয়ে অহেতুক নারীর প্রসঙ্গ টেনে নারীবিদ্বেষী বয়ান, বক্তব্য, ধারণা বা ছবি পরিবেশন করি না।
- কোনো নারীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর তার সত্যতা নিশ্চিত না হলে এবং তা অহেতুক বা বিদ্বেষপ্রসূত মনে হলে আমরা ঘটনাটির সংবাদমূল্য বিবেচনা করি। সে বিবেচনায় খবরটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিলে আমরা প্রাসঙ্গিক অন্য সব তথ্য খবরে সংযুক্ত করি। তবে নারীটির নাম-পরিচয় গোপন রাখি, যাতে তাঁর অহেতুক সম্মানহানি বা অকারণ ক্ষতি না হয়।
নাম ও পরিচয়
- সাধারণভাবে পাচারকৃত নারী বা শিশু উদ্ধার করা হলে তাদের নাম, পরিচয় ও ছবি আমরা ছাপি না। খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিপন্ন করার জন্য ছবি ছাপাতে হলে মুখ অস্পষ্ট করি দিই। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে নারী বা শিশুটির সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার শঙ্কা না থাকলে এবং এতে তাঁর উপকারের সম্ভাবনা থাকলে সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর ছবি ছাপাই।
- যৌনপল্লি উচ্ছেদের ছবি খবরের সত্যতা যাচাইয়ের পক্ষে কাজ করতে পারে বলে মনে হলে ছবি ছাপানোর সময় সেখানকার বাসিন্দা মেয়ে বা শিশুদের চেহারা অস্পষ্ট করে দিই। যৌনপল্লির বাইরে যৌন ব্যবসা-সংক্রান্ত কোনো নিপীড়ন, নির্যাতন বা অপরাধের চিত্র তুলে ধরার স্বার্থে ছবি ছাপার ক্ষেত্রেও একই নীতি মেনে চলি। এ পেশায় যুক্ত নারী ও শিশুর নাম, পরিচয় ও ছবি আমরা প্রকাশ করি না। যৌনসেবার গ্রাহক বা পুরুষ ব্যবসা নিয়ন্ত্রকের ছবি সংবাদের প্রয়োজন বুঝে ছাপাই।
- ধর্ষণ, অ্যাসিড হামলা, যৌতুক বা অন্যান্য নারী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির ছবি ছাপাতে হলে তাকে ‘অপরাধী’ না লিখে ‘অভিযুক্ত’ লিখি। এ-সংক্রান্ত মামলা চলাকালে তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক আইন মেনে চলি।
- সাধারণভাবে কোনো নারী অপরাধী হিসেবে প্রমাণিত হলে স্বাভাবিক নিয়মেই নাম-পরিচয়সহ তাঁর খবর প্রকাশ করি। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ওপর জোর দিই; ঢালাও দোষারোপ, কলঙ্কারোপ বা এ-জাতীয় ইঙ্গিত দিই না। তবে ক্ষেত্রবিশেষে অভিযুক্তের শিশুসন্তানের অহেতুক ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে তাঁর নাম, পরিচয় ও ছবি গোপন রাখি।
- যৌন, যৌতুকসংক্রান্তসহ স্পর্শকাতর বিষয়ে অপরাধের শিকার এবং অপরাধের সাক্ষী নারী বা শিশুর নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশের আইনি নিষেধাজ্ঞা আমরা মেনে চলি। বিশেষ ক্ষেত্রে নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে হলে আদালতের অনুমতি নিই।
পীড়ন ও লাঞ্ছনা
- কোনো নারী শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হলে এবং এ-সংক্রান্ত খবর ও ছবি ছাপার কারণে তাঁর সামাজিক সম্মান বা সম্ভ্রম আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে খবর পরিবেশনের সময় তাঁর নাম, পরিচয় ও ছবি ছাপাই না। হরতালে বা রাজনৈতিক মিছিলে কোনো নারীর বস্ত্র খুলে ফেলার ছবি ছাপতে হলে তাঁর চেহারা ও ছবির স্পর্শকাতর অংশ ঢেকে বা অস্পষ্ট করে দিই। তবে লাঞ্ছনার শিকার কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারী নিজেই প্রকাশ্যে ঘটনাটি বয়ান করলে তাঁর নাম, পরিচয় ও ছবি ছাপাই।
- অ্যাসিডদগ্ধ নারীর ছবি পীড়াদায়ক হলে এ-জাতীয় ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করি। ক্ষেত্রবিশেষে বর্বরতার মাত্রা বোঝানোর জন্য তাঁর অ্যাসিডদগ্ধ ছবির পাশাপাশি মূল চেহারার ছবিও প্রকাশ করি। তবে অ্যাসিডদগ্ধ নারীর নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করার আগে তাঁর ও তাঁর অভিভাবকদের অনুমতি নিই। আঞ্চলিক প্রতিনিধিরা এ-জাতীয় প্রতিবেদনে নারীর নাম, পরিচয় ও ছবি পাঠালে তা প্রকাশের প্রামাণ্য অনুমতি সংগ্রহ করি। প্রামাণ্য অনুমতি নিজ দায়িত্বে অফিসকে পাঠাতে আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের আমরা উৎসাহিত করি।
- গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার বা বিশেষ পরিবেশে কোনো ভুক্তভোগী নিজের নাম-পরিচয় প্রকাশ করে কথা বললেও তাঁর নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশের জন্য তাঁর লিখিত ও সজ্ঞান সম্মতি নিই। ভুক্তভোগী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে তার নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করি না।
- এইচআইভি/এইডসে বা অনুরূপ ভুক্তভোগী নারীর হেয় হওয়ার বা ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে তাঁদের নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করি না।
- মায়ের বিরুদ্ধে সন্তান হত্যার অভিযোগ উঠলে অথবা তেমন অপরাধ প্রমাণিত হলে সে খবর এবং খবরের শিরোনাম আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এবং সতর্কতার সঙ্গে লিখি। ‘হত্যাকারী মা’-জাতীয় ঢালাও ধারণার প্রকাশ ঘটাই না।
ধর্ষণের খবর
- ‘ধর্ষিতা’ শব্দটির বদলে আমরা যথাসম্ভব ‘ধর্ষণের শিকার’ কথাটি ব্যবহার করি।
- ধর্ষণের প্রতিবেদন যথাসম্ভব সাবধানতা ও সচেতনতার সঙ্গে লিখি। লেখায় রগরগে, উত্তেজক বা ইঙ্গিতপূর্ণ কোনো উল্লেখ করি না।
- ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা বা যৌন হয়রানির শিকার কোনো নারীর নাম ও ছবি আমরা ছাপাই না। তাঁকে শনাক্ত করতে পারার মতো কোনো তথ্যও দিই না।
- প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণের জন্য ধর্ষণের শিকার কোনো নারীর ছবি ছাপাতে হলে তাঁর চেহারা অস্পষ্ট করে দিই।
- ধর্ষণ বা অনুরূপ কোনো অপরাধের শিকার হয়ে কোনো নারী নিহত হলে আইনি নিষেধাজ্ঞা মেনে তাঁর নাম, পরিচয় ও ছবি আমরা প্রকাশ করি না। ইতিবাচক কোনো উদ্দেশ্যে তা করতে হলে যথাযথ সম্পাদকীয় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তা করি। এর জন্য অপরাধের শিকার নারীর নিকটতম স্বজনের এবং প্রয়োজনে আদালতের অনুমতি নিই।
শিশু-কিশোর নীতিমালা
স্বার্থ ও বিকাশ- সাংবাদিকতাসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ডে শিশু-কিশোরদের সার্বিক মঙ্গল ও বিকাশের কথা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি।
- আমাদের বিবেচ্য প্রসঙ্গের মধ্যে শিশু-কিশোরদের স্বার্থ রক্ষা করার মতো বিষয়গুলো আমরা অন্তভুর্ক্ত রাখতে সচেষ্ট থাকি। আমরা সচেতন থাকি, যাতে আমাদের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও, কাটুর্ন, প্রচারণা বা কর্মকাণ্ডে শিশু-কিশোরদের স্বার্থহানি না ঘটে।
অধিকার ও সম্পৃক্ততা
- বাংলাদেশের বিবিধ আইনের আলোকে ১৮ বছরের কম বয়সীদের আমরা শিশু-কিশোর হিসেবে গণ্য করি। স্পর্শকাতর এই বিকাশপর্বে শিশু-কিশোরদের বিশেষ সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারের প্রতি আমরা সচেতন। জীবন-জগৎকে জানতে-বুঝতে তাদের সহযোগিতা করার জন্য আমরা নানা প্রকাশনা ও কর্মকাণ্ডের আয়োজন করি।
- প্রাসঙ্গিক আলোচনা ও বিতর্কের ক্ষেত্রে শিশু-কিশোরদের আমরা বয়সোচিত অংশগ্রহণের সুযোগ দিই।
- শিশু-কিশোরদের জন্য প্রকাশিত আমাদের বিভিন্ন ক্রোড়পত্র, ম্যাগাজিন, অনলাইনসহ পত্রিকার যেকোনো আয়োজনে সরাসরি অংশ নিতে আমরা তাদের উদ্বুদ্ধ করি।
- আমাদের আয়োজন করা বিভিন্ন উন্মুক্ত অনুষ্ঠান ও উৎসবে ভোক্তা হিসেবে শিশু-কিশোরদের সানন্দ উপস্থিতি আমরা প্রত্যাশা করি।
- শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত প্রতিযোগিতা বা কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ত করতে হলে আমরা তাদের পারিবারিক বা প্রাতিষ্ঠানিক অভিভাবকের সম্মতি নিই। আয়োজনে সরাসরি যুক্ত শিশু-কিশোরদের মর্যাদা ও সুরক্ষা দিই। কাজের সুবাদে কেউ যাতে আহত, ক্ষতিগ্রস্ত, উৎকণ্ঠিত বা সংকটাপন্ন না হয়, সে ব্যাপারে যত্ন নিই।
- আমাদের বিজ্ঞাপনে শিশু-কিশোরদের যেকোনো রকম ব্যবহারে আমরা অভিভাবকদের লিখিত অনুমোদন নিয়ে থাকি।
সম্পাদকীয় অবস্থান
- শিশু-কিশোরদের কল্যাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমরা জনসমক্ষে নিয়ে আসার জন্য সচেষ্ট থাকি।
- একক বা গোষ্ঠীগতভাবে শিশু-কিশোরদের বিপন্নতা, অধিকারের লঙ্ঘন বা তাদের প্রতি অন্যায়ের ঘটনাকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। প্রতিবেদন, সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়কে সে বিষয়ে সচেতনতা, জনবিতর্ক ও জনমত তৈরিতে সক্রিয় থাকি।
- শিশু-কিশোরদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে তাদের মতামতের প্রাসঙ্গিকতা থাকলে আমরা তা গ্রহণ করি।
- বয়স, লিঙ্গ, আর্থসামাজিক অবস্থা, ধর্মবিশ্বাস, নৃতাত্ত্বিক পরিচয় বা প্রতিবন্ধিতা ইত্যাদি কোনো কিছুর ভিত্তিতেই আমরা শিশু-কিশোরের প্রতি বৈষম্য করি না। আমাদের লেখা, ছবি, ভিডিও বা কাটুর্ন প্রকাশের সময় এ ব্যাপারে সচেতন থাকি। বরং বিপন্ন কোনো শিশু বা কিশোর কিংবা শিশু-কিশোর সম্প্রদায়ের প্রতি আমরা বিশেষ মনোযোগ দিই।
- শিশু-কিশোরদের উপস্থাপনের সময় আমরা আতিশঘ্য, চটক ও অনুকম্পা পরিহার করি।
- লেখা, ছবি বা ভিডিওতে আমরা মাদক সেবন, নেশার অনুভূতি, আত্মহত্যার উপায়, বিস্ফোরক বানানোর পদ্ধতি জাতীয় অপরাধমূলক ঘটনার বিশদ বিবরণ আমরা দিই না। বরং শিশু-কিশোরদের এ জাতীয় প্রবণতার প্রতিরোধমূলক তথ্য দিতে আমরা সচেষ্ট থাকি।
- শিশু-কিশোরদের অসংগতভাবে উপস্থাপন করা বিজ্ঞাপন যাতে প্রকাশিত না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকি। আমরা নজর রাখি, যাতে কোনো বিজ্ঞাপন প্রকাশের কারণে শিশু-কিশোরেরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
নীতি ও প্রয়োগ
- কোনো ঘটনায় কোনো শিশু-কিশোর জড়িত থাকলে লক্ষ রাখি, যাতে তথ্য পরিবেশনের সময় তার নিরাপত্তা, স্বার্থ ও সুরক্ষা ক্ষুণ না হয়। শিশু-কিশোর আইনের সংস্পর্শে বা আইনের সঙ্গে সংঘাতে এলে তার পরিচয় প্রকাশ করি না কিংবা এমন কোনো তথ্য দিই না, যাতে তাকে শনাক্ত করা যায়। আদালতে সাক্ষ্যদাতা শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম মেনে চলি। শিশু-কিশোরের প্রতি কোনো অন্যায়, অবিচার বা অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রমাণের জন্য ছবি ছাপানোর প্রয়োজন হলে তার মুখ অস্পষ্ট করে দিই।
- শোকাতুর, যৌনলাঞ্ছনা বা নির্যাতনের শিকার, এইচআইভি/এইডস সংক্রমিত, মাদকাসক্ত, আইনের সঙ্গে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে থাকা শিশু-কিশোরদের সঙ্গে কথা বলার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সংবেদনশীলতার পরিচয় দিই। কথা বলার সময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার অভিভাবক, হিতৈষী বা বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে রাখি। তাদের পরিচয় ও শনাক্ত করার মতো তথ্য পরিবেশন করি না। এ পরিস্থিতিতে নিপতিত শিশু-কিশোরের ছবি না ছাপানোকে অগ্রাধিকার দিই।
- কোনো লেখা, বিশেষ করে ছবি বা ভিডিও প্রকাশের সময় শিশু-কিশোরদের ওপর তার সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়টি আমরা মাথায় রাখি। লেখায় আমরা সহিংসতা বা বীভৎসতার বিশদ বিবরণ এড়িয়ে চলি। বীভৎস, নৃশংস বা রক্তাক্ত ছবি পরিহার করি। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশের জন্য এ ধরনের ছবি বা ভিডিও প্রকাশ জরুরি হলে সংশ্লিষ্ট অংশ অস্পষ্ট করে দিই এবং তার কারণ লিখে জানাই।
- তথ্যের প্রয়োজনে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমরা অভিভাবক বা প্রয়োজনীয় কতৃর্পক্ষের সম্মতি নিই। সম্মতি পেলেও বক্তব্য পরিবেশন করার কারণে যাতে তার কোনো ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকি। কথা বলার সময় তাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দিই না। এমনভাবে কথা বলি না, যাতে তারা ঘাবড়ে যায় বা মন জোগানো তথ্য দেয়। তাদের দেওয়া তথ্য পরিবেশনের আগে ভালোমতো যাচাই করে নিই।
- শিশু-কিশোরদের ছবি তোলার সময়ও অভিভাবক বা প্রয়োজনীয় কতৃর্পক্ষের সম্মতি নিই। ক্ষেত্রবিশেষে প্রকাশ্য জনাকীর্ণ এলাকায় এর ব্যত্যয় হলেও কোনো শিশু বা কিশোর কিংবা তাদের অভিভাবক আপত্তি করলে সেটি মান্য করি।
- বিনা প্রয়োজনে শিশু-কিশোরদের ব্যক্তিগত তথ্য নিই না। সংগত কারণে তা নেওয়া হলে কাজ শেষে সেসব নষ্ট করে ফেলি। সেসব তথ্য তৃতীয় কাউকে দিই না।
- সমাজবিরোধী কাজে অভিযুক্ত কারও তথ্য পরিবেশনের সময় তার পরিবারের শিশু-কিশোর সদস্যদের অপ্রাসঙ্গিকভাবে টেনে আনি না। অপরিহার্য কারণে কোনো তথ্য উল্লেখ করতে হলে তাদের নিরাপত্তা ও ঝুঁকির দিকটি সতর্ক বিবেচনায় রাখি।
- অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য পরিবেশনের সময় লক্ষ রাখি, যেন সেখানে শিশু-কিশোরদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলার মতো কোনো লিংক না থাকে। সেখান থেকে শিশু-কিশোরদের ব্যক্তিগত তথ্য যাতে অন্য কারও হাতে না পড়ে, সে ব্যাপারেও আমরা সতর্ক থাকি।
যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রথম আলোতে একটি যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য:- রাশেদা কে চৌধূরী, কমিটি–প্রধান
- আফসানা বেগম, সদস্য
- সাজ্জাদ শরিফ, সদস্য
- লাজ্জাত এনাব মহছি, সদস্য
- শুভা জিনিয়া চৌধুরী, সদস্য সচিব
সংশোধন নীতিমালা
আমরা প্রতিদিন যে পরিমাণে খবর একদিনের ওয়েব পোর্টালে প্রকাশ করি, তাতে সমস্ত সতর্কতা সত্ত্বেও অনিচ্ছাকৃত ভুল থেকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। অনিচ্ছাকৃত হলেও যেকোনো ভুলের জন্যই আমরা দুঃখিত। ভুল তথ্য সংশোধন করে পাঠককে জানানো সংবাদমাধ্যম হিসেবে আমাদের কর্তব্য। যথাযথ নিয়ম মেনে ভুল সংশোধন ও প্রকাশ করে পাঠকের গোচরে আনি। ভুল নজরে এলে আমরা নিজের উদ্যোগে তা সংশোধন করি। তবে পাঠকের চোখেও কোনো ভুল ধরা পড়লে তাঁরা আমাদের তা জানাতে পারেন। আমরা যাচাই করে সে ভুল সংশোধন করব। আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত বার্তা পাঠানোর ঠিকানা: corrigendum@prothomalo.com
- কোনো ভুল আমাদের নজরে এলে বা পাঠকেরা জানালে আমরা সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক এবং বিভাগীয় প্রধানকে তা জানাই। এরপর সে তথ্য যাচাই করে ইতিপূর্বে প্রকাশিত সংবাদে সে তথ্য সংশোধন করি।
- ভুল তথ্য ছাপা পত্রিকা বা অনলাইন যেখানেই প্রকাশিত হোক না কেন, তা একদিনের নীতিমালা অনুযায়ী সংশোধন করি। একদিনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কোনো ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়ে থাকলে তা সংশোধন করা হয়।
- সংশোধিত খবরটির নিচে আমরা সেই সংশোধনের কথা প্রকাশ করি। সেখানে ‘সংশোধনী’ শিরোনামের নিচে ভুলের কথা জানিয়ে কী সংশোধন করা হয়েছে, তা লিখে দিই। সেখানে সংশোধন করার তারিখ ও সময় উল্লেখ করি।
- সংশোধনী কেবল ভুল তথ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়। ভুল বানান বা বাক্য সংশোধন করা হলে তা জানানো হয় না।
- আমরা সাধারণত সম্পূর্ণ লেখা প্রত্যাহার করি না। অনিবার্য কারণে সম্পূর্ণ লেখা প্রত্যাহার করা হলে কেবল শিরোনামটি রেখে পুরো লেখা সরিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে শিরোনামের নিচে লেখাটি অপ্রকাশিত রাখার কারণ আমরা জানিয়ে দিই।
- প্রকাশিত কোনো সংবাদের প্রতিবাদ এলে আমরা তা সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের বক্তব্যসহ প্রকাশ করি। তবে প্রতিবাদের সঙ্গে কোনো আইনি বিষয় জড়িত থেকে থাকলে আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
- ব্রেকিং নিউজের ক্ষেত্রে সঠিক খবর দেওয়ার প্রক্রিয়াটি ভিন্ন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধরনের খবরে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য পরিবর্তিত হতে থাকে; যেমন কোনো দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বা কোনো ঘটনায় অর্থের পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সংশোধনী প্রকাশ না করে প্রতিবেদনটি নিয়ম অনুযায়ী হালনাগাদ করা হয়।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে—ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদিতে—প্রচারিত কোনো লেখা বা গ্রাফিক কার্ডে দেওয়া তথ্য ভুল হলে গুরুত্বভেদে তা সংশোধন বা প্রত্যাহার করা হয়। এক্ষেত্রে আগের লেখা বা কার্ডের স্ক্রিনশটনসহ সংশোধনীটি পাঠকদের পরিবেশন করি।
মন্তব্য প্রকাশের নীতিমালা
- বাংলাদেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।
- দেশীয় বা দেশের বাইরের কোনো ব্যক্তি, জাতি, গোষ্ঠী, ভাষা ও ধর্মের প্রতি অবমাননামূলক বা কারও অনুভূতিতে আঘাত দিতে পারে এমন কোনো মন্তব্য করা যাবে না।
- মন্তব্য অশ্লীল ও অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ কোনো শব্দ, শব্দবন্ধ বা বাক্য ব্যবহার করা যাবে না।
- কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করতে অবমাননামূলকভাবে কোনো প্রাণীবাচক নাম দেওয়া যাবে না, নাম বিকৃত করা যাবে না।
- কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা যাবে না, কাউকে ভয় দেখানো বা হুমকি দেওয়া যাবে না।
- এমন কোনো নাম বা ছদ্মনাম (ইউজার নেম বা নিক) ব্যবহার করা যাবে না যা উদ্দেশ্যমূলক, আপত্তিকর বা ইঙ্গিতপূর্ণ।
- মন্তব্যে কোনো লিংক দেওয়া যাবে না।
- ইংরেজি হরফে বাংলায় মন্তব্য করা যাবে না
- দৃষ্টিকটু বানান ভুল ও অসম্পূর্ণ বা অসংলগ্ন বাক্যের মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না
- একদিন কর্তৃপক্ষ যে কোনো মন্তব্য বাতিলের অধিকার রাখে।
গোপনীয়তা নীতি
একদিনের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) ব্যবহার করার সময় পাঠক, ভিজিটর অথবা ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। নিম্নোক্ত মাধ্যম থেকে সেবা গ্রহণের সময় তাঁদের যেসব ব্যক্তিগত তথ্য সংগৃহীত হয়, এই গোপনীয়তার নীতি সেসবের ওপর প্রযোজ্য হবে:
- গোপনীয়তা নীতিসংবলিত একদিনের যেকোনো ওয়েবসাইট
- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যেকোনো ওয়েবসাইটে একদিনের কনটেন্ট
- মোবাইল ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ)।
একদিনের তৈরি অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ), ওয়েবসাইট বা কনটেন্টের ক্ষেত্রেই শুধু এই গোপনীয়তা নীতি প্রযোজ্য হবে। কোনো নকল ওয়েবসাইট, পেজ বা গ্রুপে প্রচারিত বা একদিনের লোগো-সংবলিত ভুয়া কনটেন্টের ক্ষেত্রে এই গোপনীয়তা নীতি প্রযোজ্য হবে না।
একদিন নানা উদ্দেশ্যে পাঠকদের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পাঠকদের সেবা দেওয়া বা সেবার মান উন্নত করা এবং বিপণন ও প্রচারণার উদ্দেশ্যে এসব তথ্য সংগৃহীত হয়। এসব তথ্যের মধ্যে আছে গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা, বয়স, সামাজিক মাধ্যমের হিসাব ইত্যাদি (ইনফরমেশন বা তথ্য)।
একদিনের অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে আলাদা গোপনীয়তার নীতি প্রযোজ্য হতে পারে। সে জন্য পাঠকদের প্রতি অনুরোধ, ওই সব সেবার জন্য নিবন্ধন করার সময় তাঁরা যেন সে-সংক্রান্ত নীতিমালা পড়ে নেন। একদিন পাঠকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর তথ্য যে উদ্দেশ্যে সংগৃহীত হয়, তা যেন সেই উদ্দেশ্যই ব্যবহৃত হয়, তা নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা একদিন করে।
বিশেষ সতর্কতাএকদিন নামে দেশে একাধিক নকল ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত। ওই সব ভুয়া ওয়েবসাইট, পেজ বা গ্রুপে প্রচারিত কনটেন্টের দায় একদিনের নয়।
একদিন যেভাবে তথ্য সংগ্রহ করেনিম্নোক্ত যেকোনো ক্ষেত্রে পাঠক একদিনকে তথ্য সংগ্রহের সার্বিক সম্মতি প্রদান করেছেন এবং এই গোপনীয়তা নীতির সব শর্ত মেনে নিয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হবে:
- সাইট বা অ্যাপে নিবন্ধন করলে
- নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করলে
- জরিপ বা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে
- সাইট বা পেজে লগইন করলে
সংগৃহীত তথ্য প্রকাশ
ওয়েবসাইট পরিচালনা, ব্যবসা পরিচালনা ও গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার প্রয়োজন ছাড়া পাঠকের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি একদিন কারও কাছে বিক্রি অথবা আদান-প্রদান করে না। তবে পাঠকদের পছন্দ-অপছন্দ বুঝতে বা তাঁদের আরও ভালোভাবে সম্পৃক্ত করতে কিংবা গ্রাহকসংখ্যা বাড়াতে অভ্যন্তরীণভাবে পাঠকদের তথ্য পরস্পর আদান-প্রদান করা হতে পারে।
উল্লিখিত কারণের বাইরে অন্য কোনোভাবে পাঠকের তথ্য ব্যবহার করার প্রয়োজন হলে তার জন্য একদিনের ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ থেকে অনুমতি নেওয়া হবে। তবে বাংলাদেশের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলে তা মানার জন্য একদিন পাঠকের কাছ থেকে সংগৃহীত ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ বা সরবরাহ করতে পারে।
এই গোপনীয়তার নীতিমালার বাইরে একদিন তার সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, অধিভুক্ত কোম্পানি, পরামর্শক বা অংশীদারদের কাছে কিংবা যারা একদিনের পক্ষ থেকে ব্যবসাসংক্রান্ত কাজ করে থাকে, তাদের কাছে পাঠকের তথ্য সরবরাহ করতে পারে; আবার আইনি প্রক্রিয়া বা অন্য কোনো ফোরামে নিজ স্বার্থ সংরক্ষণে এসব তথ্য আদান-প্রদান করা হতে পারে। অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বা তেমন কোনো কাজের তদন্তে এসব তথ্য ব্যবহৃত হতে পারে। আমাদের বা কোনো ব্যক্তির প্রতি হুমকি এলে সে রকম পরিস্থিতিতেও এসব তথ্য ব্যবহৃত হতে পারে। একদিনের নীতি বা ব্যবহারের শর্তাবলি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রেও তা ব্যবহার করা হতে পারে। আমাদের সেবার শর্তাবলি মান্য করানোর লক্ষ্যেও এসব তথ্য ব্যবহার করা হতে পারে। এ ছাড়া গ্রাহকদের বিভিন্ন সেবা ও পণ্যের প্রস্তাব দেওয়ার লক্ষ্যেও এটি ব্যবহার করা হতে পারে। উল্লিখিত বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ বা বণ্টন করা হলে একদিনের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, যাতে এসব তথ্য কেবল ঘোষিত লক্ষ্যেই ব্যবহার করা হয়।
তথ্য সংরক্ষণপাঠক বা ভিজিটর একদিনতে অ্যাকাউন্ট খুললে তাঁদের তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া নিজস্ব তথ্য সংরক্ষণ নীতির আলোকে একদিন আরও কিছুদিন তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। অ্যাকাউন্টের মেয়াদ শেষ হলে পাঠকের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি মুছে ফেলা হবে। কোনো কারণে এসব তথ্য মুছে ফেলতে সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে একদিনের দায় থাকবে না।
তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞাপন ও লিংকএকদিনের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে তৃতীয় পক্ষের পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এই তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইটগুলোর গোপনীয়তার নীতি পৃথক হতে পারে। তবে এটি করা বা না করার অধিকার একদিনের হাতে থাকবে। বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তুতে কোনো ভুল, অসম্পূর্ণতা, সীমাবদ্ধতা থাকলে তার দায়দায়িত্ব একদিন গ্রহণ করবে না।
ভিজিটর বা পাঠক পৃথক লিংক, অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার কারণে তার তথ্য ফাঁস হলে—একদিনের ওয়েবসাইটের লিংক বা কনটেন্টও যদি তার মাধ্যম হয়—তার দায়দায়িত্ব একদিন নেবে না।
কুকির ব্যবহারএকদিন কুকিভিত্তিক ব্যবহারকারীর উপাত্ত সংগ্রহ করে না কিংবা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করে না।
যদি একদিনের ওয়েবসাইটে প্রবেশের মাধ্যমে কোনো ব্যবহারকারীর কুকি তৃতীয় পক্ষ সংগ্রহ করে, তার নিয়ন্ত্রণ একদিনের হাতে থাকবে না। সে জন্য পাঠকদের তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইট খতিয়ে দেখা উচিত।
জনগোষ্ঠী ও ক্রয়সংক্রান্ত তথ্যসুনির্দিষ্ট যোগাযোগ ও প্রচারণার জন্য আমরা জনগোষ্ঠীসংক্রান্ত এবং অন্যান্য তথ্য ভিন্ন উৎস থেকে একদিন সংগ্রহ করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের আচরণ অনুসন্ধানে অন্যান্য উৎসের মধ্যে আমরা গুগল অ্যানালিটিকস ব্যবহার করে থাকি। তবে পাঠক গুগলের অ্যাডস সেটিং ব্যবহার করে গুগল অ্যানালিটিকসের আওতার বাইরে চলে যেতে পারেন কিংবা গুগল ডিসপ্লে নেটওয়ার্ক কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন।
একদিনের যোগাযোগসময়ে সময়ে একদিন ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ইমেইল, ফোন বা এসএমএসের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। মূলত, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ, তথ্য সংগ্রহ এবং জরিপের জন্য একদিন এ যোগাযোগ করবে। ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতেই তা করা হবে।
দেশের বাইরে থেকে ওয়েবসাইটে প্রবেশদেশের বাইরে থেকে ব্যবহারকারীরা যেসব ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন, ব্যবহারবিধি এবং ‘গোপনীয়তা নীতি’র আলোকে তা আবার প্রক্রিয়াজাত করা হবে।
আইনএকদিনের গোপনীয়তা নীতি কিংবা এর সঙ্গে পাঠকদের সম্পর্ক ইত্যাদি নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনের আলোকে। তথ্য ব্যবহার, সংরক্ষণ, প্রকাশ, ফাঁস বা বিতরণ নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হলে বাংলাদেশের আদালতে তার মীমাংসা হবে। আদালতের রায়ই এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত। পাঠক যে জাতির, দেশের বা পেশার হোন না কেন, তিনি একদিনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে, এর কোনো সেবা নিলে বা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করলে তাঁর ক্ষেত্রে এই গোপনীয়তার নীতি প্রযোজ্য হবে।
প্রত্যাহার করাকোনো সময় কোনো পাঠক যদি একদিনের বিপণনসংক্রান্ত ইমেইল গ্রহণ করতে না চান, তাহলে খুব সহজেই তিনি তা করতে পারবেন। প্রতিটি ইমেইলের নিচে আনসাবস্ক্রাইব অপশনে ক্লিক করেই সেটি হয়ে যাবে।
তথ্য ধারণযে পর্যন্ত একদিনতে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকবে, ততক্ষণ অবধি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য আমাদের কাছে সংরক্ষণ করা হবে। আপনি তা মুছে ফেলার অনুরোধ করলে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময়ের ওপর ভিত্তি করে এবং প্রযোজ্য আইন অনুসারে সম্ভবপর দ্রুততার সঙ্গে আপনার তথ্য মুছে ফেলা হবে। তবে আইনি উদ্দেশ্যে আমরা কিছু তথ্য সংরক্ষণ করতে পারি।
একদিন তার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ উপাত্ত ধারণ নীতি অনুসারে আরও কিছু সময়ের জন্য (৫ থেকে ৭ বছর) আপনার উপাত্ত সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। অপ্রত্যাশিত ঘটনায় তথ্য মুছে ফেলার কাজটিতে কখনো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময়ও লেগে যেতে পারে। একদিন এ ধরনের ঘটনার কোনো দায় নেবে না।
আপনি ওয়েবসাইটে সাইন ইন করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন করতে পারেন। এ ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। একদিন আপনার দেওয়া কোনো তথ্য পরিবর্তন করবে না।
তথ্য মুছে ফেলাএকদিন ব্যবহারকারীর উপাত্ত বা ডেটা মুছে ফেলার অধিকারকে সমর্থন করে। তবে এ ধরনের অনুরোধ আমরা লিখে জানানোর ওপর গুরুত্ব দিই, আর তা হতে হবে একদিনের উপাত্ত সুরক্ষা ও রেকর্ড ব্যবস্থাপনা কমিটির সহযোগিতার মাধ্যমে। এতে অনুরোধের এই স্পষ্টতা নিশ্চিত হবে যে এটি অস্থায়ী ওয়েব এবং সোশ্যাল মিডিয়া কুকিজের মতো অস্থায়ী সংরক্ষিত কোনো বিষয় নয়। আপনি info@prothomalo.com-এ ইমেইল পাঠিয়ে উপাত্ত মুছে ফেলার অনুরোধ করতে পারেন।
আপনাকে আমাদের পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজন প্রত্যাহার কিংবা আপনার উপাত্ত ধরে না রাখার জন্য আপনি বলার আগপর্যন্ত আমরা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করব। আপনার তথ্য আর ব্যবহার করতে দিতে না চাইলে আপনি তা মুছে ফেলার বা একদিনতে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করতে পারবেন।
কর, আইনি প্রতিবেদন, নিরীক্ষার বাধ্যবাধকতা ইত্যাদি জাতীয় আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে চলার জন্য আপনার ব্যক্তিগত তথ্য আমরা প্রয়োজনীয় পরিমাণে সংরক্ষণ এবং ব্যবহার করতে পারব। আমাদের সঙ্গে আপনার একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলে প্রতিটির জন্য আলাদা আলাদাভাবে ই–মেইল আইডি ও ফোন নম্বর জানিয়ে অনুরোধ করতে হবে।
গোপনীয়তার নীতি সংশোধনগোপনীয়তার নীতির ধারা যেকোনো সময় সংশোধন, পরিবর্তন ও বাদ দেওয়ার অধিকার একদিন সংরক্ষণ করে। তবে সেই পরিবর্তিত নীতি তাৎক্ষণিকভাবে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হবে। পরিবর্তনের পর পাঠক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে ধরে নিতে হবে, তিনি এগুলো মেনে নিয়েছেন এবং সব সময় মেনে চলবেন। পাঠক কোনো কারণে নীতি পড়তে ব্যর্থ হলে তার জন্য একদিন দায়ী থাকবে না।
পাঠকদের প্রতি আহ্বান, তাঁরা যেন সময়ে সময়ে আমাদের নীতি পর্যালোচনা করেন। তাহলে তাঁরা বুঝতে পারবেন, আমরা কীভাবে তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করি এবং কার সঙ্গে তা বিনিময় করি।
প্রত্যাহার করাকোনো সময় কোনো পাঠক যদি একদিনের আমাদের বিপণনসংক্রান্ত ইমেইল গ্রহণ করতে না চান, তাহলে খুব সহজেই তিনি তা করতে পারবেন। প্রতিটি ইমেইলের নিচে আনসাবস্ক্রাইব অপশনে ক্লিক করলেই সেটি হয়ে যাবে।
আর পাঠক যদি নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট রাখতে না চান, তাহলে এই ঠিকানায় ইমেইল পাঠালেই চলবে: info@prothomalo.com
ব্যবহারের শর্তাবলি
পাঠক ও ভিজিটরদের আমরা একদিন এবং এর বিভিন্ন ওয়েবসাইট, কনটেন্ট, সেবা ও অ্যাপ্লিকেশন ‘ব্যবহারের শর্তাবলি’ পড়তে স্বাগত জানাই। ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ, ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম, এসএমএস, আরএসএস ফিড—নানা পথে পাঠকেরা আমাদের কনটেন্ট পড়ার জন্য আসতে পারেন। বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে আমাদের কনটেন্টে প্রবেশ করা সম্ভব, সেসব নিছক কম্পিউটার, মুঠোফোন ও পিডিএর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের কনটেন্ট সেবা গ্রহণ করার মাধ্যমে বা কনটেন্ট, ছবি ও তথ্য দেখা বা পাঠের মাধ্যমে পাঠক ও দর্শনার্থীরা আমাদের ‘ব্যবহারের শর্তাবলি’ মেনে নিচ্ছেন বলে আমরা ধরে নেব। একই সঙ্গে তাঁরা একদিনের ‘গোপনীয়তা নীতি’ মেনে নিচ্ছেন বলেও ধরে নেওয়া হবে। এসব নিয়ে কারও আপত্তি বা বক্তব্য থাকলে এই ঠিকানায় ইমেইল পাঠিয়ে জানাতে অনুরোধ করছি: info@prothomalo.com
পাঠকের আপত্তি বা বক্তব্য গ্রহণ করা বা না করার এখতিয়ার একদিনের। একদিনের সব পাঠককে এই ‘ব্যবহারের শর্তাবলি’ মেনে চলতে হবে। তাঁরা তা না মানলে বা ব্যবহারের শর্তাবলি-পরিপন্থী কোনো কিছু ঘটলে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা থেকে তাঁদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ ইত্যাদি নানা কিছুর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হতে পারে। একদিনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা কিংবা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার অর্থ হলো, গ্রাহক বা দর্শনার্থীরা প্রথম আলোর সেবা নিচ্ছেন এবং ‘ব্যবহারের শর্তাবলি’ মেনে নিতে সম্মতি দিচ্ছেন। এই সেবার মধ্যে আছে লেখা, ছবি, গ্রাফিকস, অডিও, ভিডিও, সফটওয়্যার ইত্যাদি।
মেধাসম্পদের অধিকারএকদিনের কনটেন্ট, লোগো, স্বত্ব, ট্রেডমার্ক, পেটেন্ট, লেখা, ছবি, গ্রাফিকস, ডোমেইন নেম, অডিও, ভিডিও এবং একদিনের সঙ্গে সম্পর্কিত মেধাসম্পদ ও ব্র্যান্ডের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ও নাম একদিন এবং এর লাইসেন্সধারীর মালিকানাধীন। একদিনের কিংবা এর লাইসেন্সধারীর মেধাসম্পদে বাণিজ্যিক বা অবাণিজ্যিক কোনো উদ্দেশ্যেই ব্যবহারকারী কোনো অধিকার দাবি করতে পারবেন না। এ ছাড়া একদিনের কনটেন্ট দিয়ে ব্যবহারকারী নতুন কিছু বানাতেও পারবেন না। স্বত্ব বা মেধাসম্পদ লঙ্ঘন করা হলে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে। স্বত্ব বা মেধাসম্পদ লঙ্ঘনের ঘটনা চোখে পড়লে এই ঠিকানায় ইমেইল পাঠাতে পারেন: info@prothomalo.com
আমাদের সেবা: আপনার ব্যবহারপাঠক ও ভিজিটরদের শুধু আইনগতভাবে বৈধ কাজে কিংবা পাঠের লক্ষ্যে প্রথম আলোর সাইটের সেবা নিতে হবে। ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনের অডিও-ভিজ্যুয়াল উপাদান কেবলই দেখা ও শোনার জন্য, এর বাইরে আর কিছুর জন্য একদিন অনুমতি দেয় না। একদিন সামাজিক মাধ্যমে তার কনটেন্ট ভাগাভাগির জন্য পাঠকদের উদ্বুদ্ধ করে। তবে আমাদের কনটেন্ট সামাজিক বা ডিজিটাল মাধ্যমে অবশ্যই অবিকৃতভাবে এবং একদিনের কনটেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। আমাদের ওয়েবসাইট হ্যাক করা নিষিদ্ধ। কনটেন্টের নিরাপত্তা বিধানকে পাশ কাটানোও নিষিদ্ধ।
সেবাগ্রহণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক বা অবাণিজ্যিক যা-ই হোন না কেন, আমাদের সেবা ব্যবহার করা যাবে কেবলই অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। প্রথম আলোর গ্রাহক ও পাঠকেরা এর সেবা ও মেধাসম্পদে প্রবেশাধিকার পান কিছু নিয়মানুগ সীমাবদ্ধতা মেনে; যেমন ব্যবহারকারীরা বিদ্যমান সেবা কেবল ব্যক্তিগত ও অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারেন। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আমাদের কোনো কনটেন্ট ব্যবহার বা বিক্রি করা যাবে না, তবে প্রথম আলোতে পরিবেশিত ব্যবহারকারীর নিজের সৃষ্ট কনটেন্টের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। একদিনের কনটেন্ট লক্ষ্য করে ব্যবহারকারীরা উসকানিমূলক বা আক্রমণাত্মক ভাষা ও ছবি ব্যবহার বা মন্তব্য করতে পারবেন না।
কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়াওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন থেকে একদিন নিজের ক্ষমতাবলে যেকোনো সময় যেকোনো কনটেন্ট সরিয়ে নিতে পারে। ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট, গেম বা অ্যাপ সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পাঠক বা গ্রাহকেরা একদিনের অনুরোধ অগ্রাহ্য করতে পারবেন না। একদিন বা এর সেবা প্রত্যাহার করে নিলে তা হতে পারে।
নিষিদ্ধ ও অননুমোদিত ব্যবহারপাঠক একদিনকে কোনো রাজনৈতিক দল, বর্ণবাদ, সাম্প্রদায়িকতা বা কোনো লিঙ্গবৈষম্যবাদী তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত করতে পারবেন না এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারবেন না। একদিন বা কোনো ব্যক্তির মানহানি, মানুষকে হেনস্তা ও নিপীড়ন, আদালতের কার্যক্রম নিয়ে আদালত অবমাননার পরিস্থিতি সৃষ্টি করার মতো আচরণ নিষিদ্ধ। অনৈতিক, আক্রমণাত্মক ও দুর্বোধ্য মন্তব্য বা ছবি আপলোড করা যাবে না। একইভাবে মন্তব্য বা ছবি পোস্ট করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণও করা যাবে না।
ব্যবহারকারীর ডিভাইসের সুরক্ষাএ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের নিজের সুরক্ষা নিজেদের নিশ্চিত করতে হবে। ভাইরাস, ম্যালওয়্যার বা এ-জাতীয় ক্ষতিকর কোনো কিছুর আক্রমণে ডিভাইসের ক্ষতি হলে তার দায় একদিন নেবে না। তৃতীয় পক্ষের কনটেন্টে প্রবেশ করার কারণে ডিভাইসের ক্ষতি হলে একদিন সে জন্য দায়ী হবে না। এর মধ্যে গুগলের বিজ্ঞাপন থাকতে পারে, তবে ব্যাপারটা শুধু এটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। যে কনটেন্ট একদিন সৃষ্টি করেনি, তা একদিনের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হলেও তৃতীয় পক্ষের কনটেন্ট হিসেবে বিবেচিত হবে।
মার্ক, কনটেন্ট ও ছবি আদান-প্রদানে নিষেধাজ্ঞাবাণিজ্যিক বা যেকোনো কারণে পাঠকদের ছাপ বা মার্ক, কনটেন্ট ও ছবি ভাগাভাগি বা প্রচার করা নিষিদ্ধ। তবে কনটেন্ট একদিনের সৃষ্ট হলে এবং অনুমোদন দেওয়া থাকলে কনটেন্ট, ছবি বা মার্ক ভাগাভাগি করার সময় সূত্র উল্লেখ করতে হবে। একদিনের সৃষ্ট কনটেন্ট ও ছবির স্বত্ব পাঠকের নয়।
অন্য ওয়েবসাইটে স্থানান্তরএকদিনের ওয়েবসাইট থেকে পাঠক অন্য কোনো ওয়েবসাইটে, এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটে স্থানান্তরিত হলেও তার দায় একদিনের নয়।
তৃতীয় পক্ষের কনটেন্টতৃতীয় পক্ষের কনটেন্ট, অর্থাৎ যে কনটেন্ট একদিন সৃষ্টি করেনি, প্রথম আলো কোনোভাবেই তার দায় বহন করবে না। সে কনটেন্ট একদিনতে প্রদর্শিত হলেও তৃতীয় পক্ষের বলে বিবেচিত হবে।
গোপনীয়তা নীতি‘গোপনীয়তা নীতি’ এই নীতিমালার অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেসব শর্ত অভিন্ন বা সমরূপ, সেগুলো বাদে ‘গোপনীয়তা নীতি’র সব শর্ত রেফারেন্স হিসেবে এতে গৃহীত হয়েছে।
বিজ্ঞাপনএকদিনের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে যেসব বিজ্ঞাপন পরিবেশিত হয়, সেগুলোর মালিকানা তৃতীয় পক্ষের। তবে তারা পাঠকদের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং অন্য পক্ষের সঙ্গে তা আদান-প্রদানও করতে পারে। এর ফলে কোনো সমস্যা উদ্ভূত হলে তার দায় একদিন নেবে না। এ ধরনের বিজ্ঞাপন একদিনের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হলেও তার দায় একদিনের নয়।
পরিবর্তনএকদিন যেকোনো সময় তার যেকোনো নীতিমালায় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন আনার অধিকার রাখে। তবে সেসব পরিবর্তন ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হবে। এরপর গ্রাহক যখন ওয়েবসাইট ব্যবহার করবেন, তখন ধরে নেওয়া হবে, তিনি সে পরিবর্তনগুলো মেনে নিয়েই সাইটে প্রবেশ করেছেন। পাঠক তখন তা মেনে চলতে বাধ্য। সে জন্য কোথায়, কখন, কী পরিবর্তন এসেছে, পাঠকদের তা লক্ষ রাখতে আমরা অনুরোধ করছি।
কুকির ব্যবহার
একদিন ব্যবহারকারীর কুকিভিত্তিক পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে না।
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যও একদিন সংরক্ষণ করে না। এমনও হতে পারে
যে পাঠক বা দর্শনার্থীর একদিন ওয়েবসাইটে প্রবেশের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষ
ব্যবহারকারীর কুকি সংগ্রহ করতে পারে, যার ওপর একদিনের নিয়ন্ত্রণ নেই।
সে জন্য পাঠকদের তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইট সতর্কতার সঙ্গে দেখা উচিত।
কোনো গ্রাহক একদিনতে নিবন্ধন করলে তার সত্যতা প্রতিপাদনের জন্য
ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে একদিন সে তথ্য তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে
আদান-প্রদান করে না। একদিনের পাঠকদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানাতে বা প্রথম
আলো-সম্পর্কিত কোম্পানির তথ্য পাঠাতে এসব তথ্য ব্যবহার করা হতে পারে।
সময়ে সময়ে ইমেইল, ফোন ও এসএমএসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, প্রচারণা, প্রতিযোগিতা, জরিপ ও প্রতিক্রিয়ার জন্য একদিন পাঠকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
ব্যবহারকারীদের কনটেন্টএকদিনের পাঠকেরা সময়-সময় মন্তব্য, ছবি ও ভিডিওর মতো বিভিন্ন পোস্ট ও কনটেন্ট তুলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পাঠকদের নিশ্চিত করতে হবে যে তাঁরাই এসব কনটেন্টের স্রষ্টা কিংবা অন্য কেউ তার স্রষ্টা হলে ব্যবহারের অনুমতি তিনি দিয়েছেন। একই সঙ্গে পাঠককে এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে তাঁর কনটেন্টে অশ্লীলতা, হয়রানি, প্রতারণা, হুমকি, আক্রমণাত্মক, অসম্মানজনক, অবৈধ বা কারও গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার মতো উপাদান নেই।
পাঠকদের কোনো কনটেন্ট একদিন অনুমোদন করে না বা তার সত্যতা নিশ্চিত
করে না।
এ ছাড়া একদিনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করার সময় পাঠকদের বেশ কিছু বিষয়ে
সম্মত হতে হবে। সেগুলো হলো: ১. অন্যের ক্ষতি বা হানি করার জন্য
উদ্দেশ্যমূলকভাবে পোস্ট দেওয়া যাবে না; ২. একদিনের ওয়েবসাইটে এমন কিছু
পোস্ট করা যাবে না, যাতে কেউ অন্যায়ের বা হয়রানির শিকার হয় বা কারও
অবমাননা ঘটে কিংবা কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ
জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-জাতিসত্তা-নাগরিকত্ব-বয়স-বৈবাহিক অবস্থা-যৌন
অভ্যাস-সামরিক অবস্থা ও অসক্ষমতার কারণে নিপীড়নের শিকার হন; ৩. এমন কোনো
সফটওয়্যার বা কোড পোস্ট বা প্রচার করা যাবে না, যাতে একদিনের
ওয়েবসাইটের কার্যক্রম ব্যাহত বা ধ্বংস হতে পারে; হার্ডওয়্যার বা
টেলিযোগাযোগ যন্ত্রের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য; ৪. এমন কোনো কনটেন্ট
আপলোড বা প্রচার করা যাবে না বা একদিনের ওয়েবসাইট-সংক্রান্ত ব্যবস্থা
নেওয়া যাবে না, যাতে অপরাধমূলক কার্যক্রম উৎসাহিত হতে পারে বা দেওয়ানি
অথবা ফৌজদারি দায় সৃষ্টি হতে পারে।
একদিন নিজ ক্ষমতাবলে পাঠক বা ব্যবহারকারীর যেকোনো কনটেন্ট পূর্বঘোষণা ছাড়াই যেকোনো সময় প্রত্যাহার করার অধিকার রাখে।
কোনো ক্ষেত্রে পাঠকের কোনো পোস্ট একদিন বা কোনো যুক্তিশীল ব্যক্তির কাছে অযথার্থ, আপত্তিকর বা আক্রমণাত্মক ঠেকলে, সে আচরণ প্রতিহত করার জন্য সংশ্লিষ্ট পোস্টদাতার ব্যক্তিগত তথ্য একদিন ব্যবহার করতে পারে।
দেশের বাইরে থেকে ওয়েবসাইটে প্রবেশবাংলাদেশের বাইরে থেকে পাঠকেরা যেসব ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন, তা ‘ব্যবহারের শর্তাবলি’ ও ‘গোপনীয়তা নীতি’ অনুযায়ী প্রক্রিয়া করা হবে।
দায় পরিত্যাগএকদিন ব্যবহারকারীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে চায়। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে পরিবেশিত তথ্য—যেমন ছবি বা ভিডিও—এসব যে সব ক্ষেত্রেই যথাযথ হবে, তার নিশ্চয়তা নেই। একদিনতে পরিবেশিত সব কনটেন্ট শুধু তথ্যের জন্য, পরামর্শের জন্য নয়। একদিনের সব সেবা ওয়ারেন্টি ও গ্যারান্টি ছাড়া পরিবেশিত হয়।
কনটেন্ট দেখা ও পোস্ট করাপাঠক ও দর্শনার্থীরা যখন একদিনের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট পোস্ট করেন বা অন্যদের দেওয়া কনটেন্ট দেখেন, তখন তাঁরা নিজেদের ঝুঁকি বা বিবেচনা মনে রেখেই সেটি করেন। কনটেন্টের বস্তুনিষ্ঠতার ওপর তাঁরা যে আশ্বাস বা বিশ্বাস স্থাপন করেন, তার ভিত্তি তাঁদের নিজেদের বিবেচনাবোধ।
তৃতীয় পক্ষের দায়একদিনতে যে তথ্য পরিবেশিত হয়, তার একটি অংশ তৃতীয় পক্ষের প্রদত্ত। তারা একদিনের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। তাদের তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করা সে কারণে একদিনের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই একদিন বা তৃতীয় পক্ষের পরিবেশিত তথ্যে আস্থা স্থাপনের আগে সেই তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্য একদিন পরামর্শ দেয়।
ব্যাঘাত, ক্রস কানেকশন, ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের অপ্রাপ্যতাএকদিন সারাক্ষণ তার সেবা চালু রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। তবে যার ওপর একদিনের নিয়ন্ত্রণ নেই—যেমন ইন্টারনেটের সমস্যা—তেমন কোনো কারণে, কিংবা তৃতীয় পক্ষের কনটেন্ট ডাউনলোড বা তাতে অংশগ্রহণ করার কারণে সমস্যা হলে বা সেই সেবায় ব্যাঘাত ঘটলে তার দায় একদিন নেবে না অথবা ব্যবহারকারীর কাছে দায়বদ্ধ থাকবে না। একদিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কনটেন্ট বা সেবার কারণে কারও ক্ষতি হলে একদিন বাংলাদেশে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তার দায় নেবে না।
আইনএকদিনের ‘ব্যবহারের শর্তাবলি’ এবং গ্রাহকের সঙ্গে তার সম্পর্ক বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনের আলোকে পরিচালিত হয়। এ ছাড়া তথ্য সংরক্ষণ, প্রকাশ, ফাঁস বা তারিখ প্রভৃতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে তা আর্বিট্রেশন অ্যাক্ট, ২০০১ অনুসারে সালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে। সালিস অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় এবং ট্রাইব্যুনালের সদস্যসংখ্যা হবে তিন। এর পূর্ণাঙ্গ এখতিয়ার থাকবে আদালতের হাতে। যাঁরা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেবা নেবেন বা প্রথম আলোর অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করবেন, নাগরিকত্ব, অবস্থান, আবাসস্থল বা ব্যবসাস্থল-নির্বিশেষে তাঁদের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
প্রত্যাহার করাকখনো কোনো পাঠক আমাদের বিপণনসংক্রান্ত ইমেইল গ্রহণ করতে না চাইলে খুব সহজেই তাঁরা সেটা করতে পারেন। প্রতিটি ইমেইলের নিচে আনসাবস্ক্রাইব অপশনে ক্লিক করেই পাঠকেরা তা করতে পারেন।
আর পাঠক যদি নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট রাখতে না চান, তাহলে এই ঠিকানায় ইমেইল পাঠালেই চলবে: info@ekkdin.com